যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন তারা মাউস সম্পর্কে কম বেশি জানেন যে মাউস আসলে কি কাজে লাগে। তার পরও আজকে আমরা মাউস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানবো।
মাউস কম্পিউটার এর একটি ইনপুট ডিভাইস। এটির সাহায্যে পয়েন্টার করে কম্পিউটার এ ইনপুট দেয়া হয় তাই এটাকে পয়েন্টের ডিভাইস ও বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটার এর কোনো ফাইল বেছে নিতে , ওপেন করতে , বন্ধ করতে মাউস এর ব্যবহার হয়। এটি কম্পিউটার এর কার্সর নিয়ন্ত্রণ করে। যা কম্পিউটার কে নির্দেশ দেয়ার কাজ করে থাকে।
বিভিন্ন ধরনের পয়েন্টিং ডিভাইস থাকলেও, সবচেয়ে সাধারণ পয়েন্টিং ডিভাইস হল মাউস। যে যন্ত্র কার্সরকে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে পয়েন্টিং ডিভাইসের দিক থেকে সাধারণ অর্থে মাউস বলেই চিহ্ণিত করা হয়।
যদিও কী বোর্ড দিয়ে মাউস এর প্রায় সব কাজ ই করা যায় কিন্তু সেটা খুব এ কষ্টকর ও ঝামেলা পুর্ন। সেক্ষেত্রে মাউস দিয়ে সহজেই তা করা যায়। মাউস দিয়ে এক ক্লিকেই স্ক্রিন এর যে কোনো জায়গা পয়েন্ট করে কমান্ড করা যায় ,যা কী বোর্ড দিয়ে করলে অনেক সময় লাগে। এবং কিছু সূত্র জানতে হয়। অর্থাৎ কোন কী এর কি কাজ সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
মাউস আমাদের কাজ কে অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাই বলা যায় মাউস খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনপুট ডিভাইস। মাউস দ্বিতীয় প্রজন্মের আবিষ্কার।
মাউস এর মাধ্যমে মনিটরের বা প্রোগ্রামের যে কোন স্থানে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মাউস আবিষ্কারের পর গ্রাফিক্স ইউজার ইন্টারফেস বা GUI সংবলিত আপারেটিং সিসটেম দ্রুত প্রসার পায়
একটি মাউস এ (Left & Right ) দুটি সুইচ থাকে ও মাঝ খানে চাকার মতো আরেকটি সুইচ থাকে যার সহজে কোনো নির্দিষ্ট পেজ স্ক্রল করা যায় তাই এ কে স্ক্রল বার বা বাটন বলা হয়।
১৯৬৮ সালে Douglas C। Engelbart মাউস আবিষ্কার করেন। Douglas C। Engelbart একজন আমেরিকান প্রকৈশলী ও আবিস্কারক ছিলেন।
১৯৮০ এর দশকে আ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিন্টশ সিরিজে প্রথম এটি উপস্থাপন করে, এটি ইঁদুরের মতো দেখতে হওয়ায় এর নাম দেয়া হয় মাউস।
মাউস প্রধানত পাঁচ প্রকারের হতে পারে। যেমন :
১। Mechanical Mouse
২। Optical Mouse
৩। Wireless Mouse
৪। Trackball Mouse
৫। Styluss Mouse
মাউস দিয়ে আমরা যে সব কাজ করে থাকি :
১। Pointing : মাউস এর মাধ্যমে কোনো কিছু পয়েন্টিং করা যায় বা নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা যায়। পয়েন্টিং কার্সর এর মাধ্যমে কম্পিউটার এর স্ক্রিন এর যে কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২। Clicking : কোনো ফোল্ডার বা ফাইল ওপেন করার জন্য মাউস এর কার্সর দিয়ে পয়েন্ট করার পর ক্লিক করা হলে তাকে ক্লিকিং বলে। মাউস এ (Left & Right ) দুটি সুইচ থাকে যার সাহায্যে (Left & Right ) আলাদা আলাদা ভাবে ক্লিক করা যায়।
৩। Selecting : নির্দিষ্ট কোনো ফাইল এর উপর মাউস পয়েন্টর নিয়ে গেলে তার উপর লেফট ক্লিক করলে ফাইলটি সিলেক্ট হয়ে যায়। কোনো ফাইল সিলেক্ট করার পর ফাইল টির চার পাশে বর্ডার ক্রিয়েট হয় যার ফলে বুঝা যায় ফাইল টি সিলেক্ট হয়েছে।
৪। Drag & Drop : মাউস এর সাহায্যে কোনো ফাইল কে ক্লিক করে ধরে রাখা অবস্থায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুভ করা যায় বা টেনে নিয়ে যাওয়া যায় এটা কে ড্র্যাগ করা বলা হয়। পরে যখন ক্লিক টি ছেড়ে দিলে ফাইল টি স্থানান্তরিত হয় এটা কী ড্রপ বলা হয়।
৫। Scrolling : একটি মাউস এ (Left & Right ) দুটি সুইচ মাঝ খানে চাকার মতো আরেকটি সুইচ থাকে যার সহজে কোনো নির্দিষ্ট পেজ স্ক্রল করা যায় এ জন্য এ চাকার প্রয়োজন হয়। মাউস এর চাকা টি ঘোরালে তাকে স্ক্রলিং বলে।
এছাড়াও মাউস এর ডান ক্লিক এর মাধ্যমে open , cut ,copy , paste , delete ,Rename , properties , Undo , all select , Refresh ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। ডান ক্লিক এর মাধ্যমে কোনো কিছু cut করে বাবা ক্লিক এর মাধ্যমে paste করা যায়। কোনো নতুন ডকুমেন্ট তৈরী করা ও ডকুমেন্ট সেভ করা যায়।
কাজ করছি আইটি নিয়ে Zariq এর সাথে। Zariq- একটি সফটওয়্যার কোম্পানি।
আমরা একটি উন্নত জীবনের জন্য কাজ করি যা আপনি সর্বনিম্ন সময় এবং সবচেয়ে কম খরচের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আমরা সব ধরনের আইটি সেবা প্রদান করে থাকি।
আপনার কি একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট প্রয়োজন ?
আপনার ব্যবসায়ের ডিজিটাল মার্কেটিং এর দায়িত্ব আমাদের। মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরী করতে যোগাযোগ করুন @zariq এর সাথে।
আমাদের কাছে রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরী , ডিজাইন , লোগো , ব্যানার , ডিজিটাল বিজনেসম্যান সাপোর্ট , ই কমার্স বিজনেস সাপোর্ট , সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং , মডার্ন বিজনেস এর জন্য ওয়েবসাইট , এছাড়াও ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সহ আরো নানাবিধ সাপোর্ট সবই আমাদের কাছে।
বিজনেসকে গতিশীল ও ডিজিটাল করতে একাউন্টিং, ইনভেন্টরি, HR-Payroll, ERP সফটওয়্যার এবং ই-কমার্স বা কর্পোরেট ওয়েবসাইটের জন্য যোগাযোগ করুন - 01714 02 46 89 - ZARIQ LTD
ধন্যবাদান্তে
বিপাশা জাহান বিপা
কন্টেন্ট রাইটার এবং ট্রেইনার Zariq Ltd